রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আশুলিয়ার চন্দ্রা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পাঁচ বছরে শেষ করতে ২০১৭ সালে নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় আগামী জুন মাসে শেষ হচ্ছে; কিন্তু প্রকল্পের মূল কাজই এখনও শুরু হয়নি।
এরই মধ্যে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বায়না ধরেছে আরও ৪ বছর অতিরিক্ত সময়, সেই সঙ্গে রয়েছে প্রায় ৬৫২ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর আবেদন। শুরুতে প্রকল্পের বাজেট ছিল ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। তাই প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা। চীন সরকার এই প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে। সংশোধিত প্রকল্পে ৯ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা ধরা হয়েছে এই ঋণ থেকে। বাকি সাত হাজার ৮৬০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব। চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) প্রকল্পটিতে রয়েছে তিন হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। আগামী এডিপিতে তিন হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
মেয়াদ শেষ হতে চললেও কেন প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরুই করা যায়নি- জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ সদস্য মামুন-আল-রশীদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, প্রকল্পে বড় অঙ্কের ঋণ দিচ্ছে চীন সরকার। ঋণ পেতে দুই সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় অনেক সময় ব্যয় হয়েছে। কথা ছিল নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে তাদের ঠিকাদার দিয়ে প্রকল্পের নির্মাণকাজ করা হবে। এ ছাড়া মূল প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) বৈদেশিক ঋণের শতভাগই বাণিজ্যিক চুক্তির (কমার্শিয়াল কন্ট্রাক্ট অ্যামাউন্ট) মাধ্যমে সংস্থানের কথা বলা হয়। পরে দেখা গেল এ ধরনের ঋণ কখনোই শতভাগ এভাবে নেওয়া হয় না। এ কারণে শেষ পর্যন্ত ৮৫ শতাংশের মীমাংসায় আসতে হয়েছে। আবার ভূমি অধিগ্রহণেও জটিলতা ছিল। এসব কারণে সময়মতো কাজ শুরু করা যায়নি।
কাজ শুরু না হলেও এক হাজার ৪০৩ কোটি টাকা ব্যয় হলো কীভাবে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে কিছু অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ডলারের বিপরীতে টাকার মান পতনের কারণেও প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে। প্রকল্প নেওয়ার সময় ডলারের বিনিময় হার ধরা হয়েছিল আশি টাকা ৬০ পয়সা। সংশোধিত ডিপিপিতে ডলার প্রতি টাকার দর ধরা হয়েছে ৮৬ টাকা।